এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সিরাজুল ইসলামের দায়ের করা বহুল আলোচিত মামলা থেকে রণ হক ও দীপু হক সিকদারকে আজ সিএমএম আদালত অব্যাহতি দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০২০ এর ১২ মে এক্সিম ব্যাকের এমডি ও ডিএমডিকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা ও নিগৃহীত করার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা করেন সিরাজুল ইসলাম।
দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় মামলা চলার পর গত ৯ আগস্ট মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে সিএমএম আদালতে পেশ করা হয়। সিআইডি কর্তৃক রাসায়নিক পরীক্ষা এবং ডিবির তদন্তে এজাহারে উল্লেখিত এলাকায় মানুষের সাক্ষ্যগ্রহণে গুলি করার আলামত পাওয়া যায়নি মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এমনকি মামলার এজাহারে এক্সিম ব্যংকের এমডি ও ডিএমডি কে রণ সিকাদার গুলশানে তাদের প্রধান কার্যালয় থেকে তুলে নিয়ে যায় উল্লেখ করা হলেও এর বিপরিতে ব্যাংকের সিসি ফুটেইজ বা অন্য কোনো প্রমাণ এক্সিম ব্যাংকের পক্ষ থেকে দিতে পারেনি মর্মে পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়
মামলার এজাহারে ৫০০ কোটি টাকার ঋণের মর্টগেইজ নিয়ে মূল দ্বন্দ্বের উল্লখ থাকলেও রণ সিকাদার এক্সিম ব্যাংকে ঋণ আবেদন করেছেন মর্মে প্রমাণ দেখাতে পারেনি এক্সিম ব্যাংক, পুলিশ প্রতিবেদনে এও উল্লেখ করা হয়। পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাদী-বিবাদী আপস করেছেন উল্লেখ করে তা আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
আপসনামায় ব্যবসায়ীক ভুল বোঝাবুঝি থেকে মামলা হয়েছে উল্লেখ করা হয়। বাদী ও বিবাদী উভয়ের সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের এবং ভবিষ্যতেও তাঁরা পরস্পর সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন বলে উল্লেখ করা হয়। আপসনামায় উল্লেখিত বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে কেউ আর কোনো অভিযোগ আনবে না মর্মে উভয়পক্ষ প্রতিশ্রুতি দেন।
আদালত বাদী সিরাজুল ইসলামকে পুলিশ প্রতিবেদন ও আপসনামা নিয়ে কোনো আপত্তি আছে কি না জানতে চাইলে তাঁর কোনো আপত্তি নাই বলে আদালতকে জানান। এসময় রণ সিকদার আদালতে হাজির ছিলেন। উভয়পক্ষকে শোনার পর আদালত রণ সিকদার ও দীপু সিকদারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।